মাগুরার মহম্মদপুরে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এঘটনায় পাঁচ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় মহম্মদপুর উপজেলার দীঘা ইউনিয়নের পাল্লা-শীরগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এই সংঘর্ষ ঘটে। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) সকালে মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহতরা হলেন— তুহিন মোল্যা (৩০), সাজ্জাদ মোল্যা (৪৫), সাদেক মোল্যা (৪০), ছবির হোসেন (৫৫), আশরাফুল ((৩১), ফজিলা বেগম (৩৮), গোলাম হায়দার (৪৫), গোলাম রসূল (৬০), মোস্তাক হোসেন (৫০) ও সোহেল রানা (২৬)। আটকরা হলেন— রিয়াজ (২২), নাসির (২০), ছামাদ (২৬), আলীম (১৮) ও শরিফুল (২৭)। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ওসি জানান, বুধবার বিকেলে পাল্লা-শীরগ্রাম মাঠে বাবুখালী ইউনিয়ন ও দীঘা ইউনিয়ন দলের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় বাবুখালী ইউনিয়ন দল দীঘা ইউনিয়ন দলকে ৩ গোল দেয়। খেলা চলাকালে উভয় খেলোয়াড়দের মধ্যে কথা কাটাকাটির পর হাতাহাতি শুরু হয়। এসময় মাঠের বাইরে থাকা সমর্থকেরাও মাঠে প্রবেশ করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়।
পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওসি মো. নাসির উদ্দিন আরও জানান, এ ঘটনায় উভয় পক্ষের আহত ১০ জনকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আহতরা স্থানীয় সাবেক মেম্বর আলম নবী ও ও সাবেক মেম্বর আছাদুজ্জামানে গ্রুপের সমর্থক বলে জানা গেছে। এছাড়া, ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।